Dhaka , Thursday, 28 August 2025
News Title :
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হাজার হাজার যুবক : ঝুঁকছে ভয়ংকর অপরাধে বনবিভাগের সামনেই পাচার হচ্ছে সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ সাতক্ষীরায় চিংড়ীতে জেলী পুশ : ব্যবসায়ীকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা যুবদল নেতা শামীম হত্যার দায়স্বীকার করল স্ত্রী ও শ্যালক সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা অবজার্ভারে সংবাদ প্রকাশে কালিগঞ্জে অভিযানে ১৬ কেজি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ সাতক্ষীরায় মেরুদণ্ডের জটিল অপারেশন সম্পন্ন কালিগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতায় বিতর্ক, রচনা ও চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠিত যানজটের শহরে পরিণত সাতক্ষীরা শহর : নাকাল জনসাধারণ সুন্দরবনের চর দখল করে রির্সোট : গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

থানার ব্যারাকে নারী পুলিশ ধর্ষণ : তিনজন ক্লোজড

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এক নারী পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল) বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ ঘটনায় ওই নারী পুলিশ সদস্য, অভিযুক্ত এবং অভিযুক্ত পুলিশের স্ত্রীকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

নারী পুলিশ সদস্য দাবি করেছেন, সাফিউর রহমান প্রথমে বন্ধুত্বের কথা বলে তার কাছে আসেন। পরবর্তী সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে বদলি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেন। যোগদানের পর সাফিউর রহমান তার সঙ্গে পরিচিত হন এবং গত রমজানে ঈদের পর এক রাতে ব্যারাকে একা থাকার সুযোগে তার রুমে ঢুকে ধর্ষণ করেন। সে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সাফিউর তাকে হুমকি দেন এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেনকে বিষয়টি জানানো হলেও মামলা নিতে গড়িমসি করেন।

অভিযুক্ত সাফিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ওই নারী পুলিশ সদস্য লিখিত অভিযোগ করেননি। মৌখিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং অভিযুক্ত তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; কিন্তু সাফিউর রহমান বিবাহিত থাকায় বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এরই মধ্যে উভয়কে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। যে-ই দোষী প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকার পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সূত্রমতে, প্রাথমিক তদন্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে জেলা পুলিশ এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Satkhira observer

Popular Post

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হাজার হাজার যুবক : ঝুঁকছে ভয়ংকর অপরাধে

থানার ব্যারাকে নারী পুলিশ ধর্ষণ : তিনজন ক্লোজড

Update Time : 05:53 pm, Friday, 22 August 2025

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এক নারী পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল) বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ ঘটনায় ওই নারী পুলিশ সদস্য, অভিযুক্ত এবং অভিযুক্ত পুলিশের স্ত্রীকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

নারী পুলিশ সদস্য দাবি করেছেন, সাফিউর রহমান প্রথমে বন্ধুত্বের কথা বলে তার কাছে আসেন। পরবর্তী সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে বদলি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেন। যোগদানের পর সাফিউর রহমান তার সঙ্গে পরিচিত হন এবং গত রমজানে ঈদের পর এক রাতে ব্যারাকে একা থাকার সুযোগে তার রুমে ঢুকে ধর্ষণ করেন। সে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সাফিউর তাকে হুমকি দেন এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেনকে বিষয়টি জানানো হলেও মামলা নিতে গড়িমসি করেন।

অভিযুক্ত সাফিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ওই নারী পুলিশ সদস্য লিখিত অভিযোগ করেননি। মৌখিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং অভিযুক্ত তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; কিন্তু সাফিউর রহমান বিবাহিত থাকায় বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এরই মধ্যে উভয়কে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। যে-ই দোষী প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকার পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সূত্রমতে, প্রাথমিক তদন্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে জেলা পুলিশ এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে।