Dhaka , Thursday, 28 August 2025
News Title :
শ্যামনগর জনবান্ধব কর্মকাণ্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, ইউএনও মোছাঃ রনী খাতুন কালিগঞ্জ থানার ওসিকে বদলি নতুন ওসি মিজান অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হাজার হাজার যুবক : ঝুঁকছে ভয়ংকর অপরাধে বনবিভাগের সামনেই পাচার হচ্ছে সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ সাতক্ষীরায় চিংড়ীতে জেলী পুশ : ব্যবসায়ীকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা যুবদল নেতা শামীম হত্যার দায়স্বীকার করল স্ত্রী ও শ্যালক সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা অবজার্ভারে সংবাদ প্রকাশে কালিগঞ্জে অভিযানে ১৬ কেজি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ সাতক্ষীরায় মেরুদণ্ডের জটিল অপারেশন সম্পন্ন কালিগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতায় বিতর্ক, রচনা ও চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরার শ্যামনগর-আশাশুনি একীভূত আসনের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি:-

কালিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি:-

সাতক্ষীরা জেলাধীন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাকে একীভূত করে একটি সংসদীয় আসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৩০ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-দেবহাটা) এবং সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-আশাশুনি) আসনের নতুন সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ সিদ্ধান্তকে স্থানীয়রা ‘জনস্বার্থবিরোধী, অযৌক্তিক ও প্রশাসনিক নীতিমালা পরিপন্থী’ বলে অভিহিত করেছেন। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের নিকট এ বিষয়ে লিখিত আপত্তিপত্র দাখিল করেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকীসহ উপজেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আপত্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়, সাতক্ষীরার ভৌগলিক ও জনসংখ্যাগত বাস্তবতায় জেলায় পাঁচটি সংসদীয় আসন থাকা যৌক্তিক। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৯ বছর এ সীমানা বহাল ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সিদ্ধান্তে তা কমিয়ে চার আসনে রূপান্তর করা হয় এবং এরপর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। স্থানীয়দের মতে, দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর এবং উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ আশাশুনি দুই ভিন্ন ভৌগলিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতার অঞ্চল। এ দুটি উপজেলাকে একীভূত করে একটি আসন গঠন করলে উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে জনগণ বঞ্চিত হবে। ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্তে শ্যামনগর ও আশাশুনির সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, সাতক্ষীরার প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক বাস্তবতা বিবেচনায় জেলায় পাঁচটি সংসদীয় আসন পুনঃবহাল করা জরুরি। এটি এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, সুষম প্রতিনিধিত্ব ও জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Satkhira observer

Popular Post

শ্যামনগর জনবান্ধব কর্মকাণ্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, ইউএনও মোছাঃ রনী খাতুন

সাতক্ষীরার শ্যামনগর-আশাশুনি একীভূত আসনের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি:-

Update Time : 07:58 am, Thursday, 21 August 2025

কালিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি:-

সাতক্ষীরা জেলাধীন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাকে একীভূত করে একটি সংসদীয় আসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৩০ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-দেবহাটা) এবং সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-আশাশুনি) আসনের নতুন সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ সিদ্ধান্তকে স্থানীয়রা ‘জনস্বার্থবিরোধী, অযৌক্তিক ও প্রশাসনিক নীতিমালা পরিপন্থী’ বলে অভিহিত করেছেন। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের নিকট এ বিষয়ে লিখিত আপত্তিপত্র দাখিল করেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকীসহ উপজেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আপত্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়, সাতক্ষীরার ভৌগলিক ও জনসংখ্যাগত বাস্তবতায় জেলায় পাঁচটি সংসদীয় আসন থাকা যৌক্তিক। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৯ বছর এ সীমানা বহাল ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সিদ্ধান্তে তা কমিয়ে চার আসনে রূপান্তর করা হয় এবং এরপর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। স্থানীয়দের মতে, দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর এবং উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ আশাশুনি দুই ভিন্ন ভৌগলিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতার অঞ্চল। এ দুটি উপজেলাকে একীভূত করে একটি আসন গঠন করলে উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে জনগণ বঞ্চিত হবে। ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্তে শ্যামনগর ও আশাশুনির সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, সাতক্ষীরার প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক বাস্তবতা বিবেচনায় জেলায় পাঁচটি সংসদীয় আসন পুনঃবহাল করা জরুরি। এটি এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, সুষম প্রতিনিধিত্ব ও জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে।