মাসুদ রানা
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা আজ সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত এই ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ বনাম হিসাববিজ্ঞান বিভাগ।
সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া এই খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল হাশেম।
প্রধান অতিথি প্রফেসর আবুল হাশেম বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি নিয়ম তান্ত্রিক সংগঠন, তারা সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রশিবির কে শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে আরো সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম আয়োজন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধান আলোচকের দায়িত্ব পালন করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর শাখার সভাপতি মুহা. আল মামুন।
প্রধান আলোচক মুহা. আল মামুন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য নিজেদের জীবন বাজি রেখে বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল হাজার হাজার ছাত্রজনতা। সুতরাং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ,দুর্নীতিবাজ এবং ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দিতে চাই না। আমরা এমন একটি সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি যেখানে ন্যায় এবং ইনসাফের প্রতিষ্ঠা থাকবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে শিক্ষাবান্ধব , দখলবাজ মুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর অফিস সম্পাদক মোঃ নুরুন্নবী, সাহিত্য সম্পাদক আবু সালেহ সাদ্দাম এবং তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কলেজ শাখার সেক্রেটারি মোঃ মাসুদুজ্জামান।
ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত ৬০ মিনিটে প্রাণিবিদ্যা ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগ (১-১) সমতা থাকায় ট্রাইবেকারের মাধ্যমে খেলার নিষ্পত্তি হয়। ট্রাইব্রেকারে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ প্রাণিবিদ্যা বিভাগকে (৩-১) গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন বিজয় দলের সুমন অধিকারী,
সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচিত হন প্রাণী বিদ্যা বিভাগের আবির হোসেন। তবে উভয় দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
এ সময় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী, খেলোয়াড় ও দর্শকসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি টুর্নামেন্টকে প্রাণবন্ত করে তোলে।