লেখক: শর্মিষ্ঠা সরকার
বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র হলো গ্রাম। দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং কৃষিনির্ভর জীবনযাপন করে। এই গ্রামীণ জীবনের ভেতরে রয়েছে পরস্পরের সহযোগিতা, প্রকৃতির সান্নিধ্য ও সংস্কৃতির শেকড়। কিন্তু পাশাপাশি রয়েছে সীমাবদ্ধতা—মানসম্মত শিক্ষা, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ঘাটতি।
আজকের বাস্তবতায় শহর-গ্রামের বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠছে। তরুণ প্রজন্ম কাজের সন্ধানে শহরে পাড়ি জমাচ্ছে, ফলে গ্রাম হারাচ্ছে তার কর্মক্ষম শক্তি। অথচ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে গ্রামীণ জীবনকেই উন্নয়নের মূলধারায় আনতে হবে।
ডিজিটাল সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, সোলার এনার্জি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কুটিরশিল্প ইতিমধ্যেই গ্রামীণ অর্থনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তি, সেচ ও টেকসই চাষাবাদ গ্রামীণ জীবনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে এসব উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করা জরুরি।
এখন সময় এসেছে গ্রামীণ অবকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সুষম বিনিয়োগের। উন্নয়নকে যদি সত্যিকার অর্থে টেকসই করতে চাই, তবে গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আমাদের মনে রাখতে হবে, গ্রাম হলো জাতির শেকড়। শেকড় যদি দুর্বল হয়, গাছ যেমন টিকে না—তেমনি গ্রামীণ জীবনকে শক্তিশালী না করলে বাংলাদেশও দীর্ঘমেয়াদে এগোতে পারবে না।