Dhaka , Thursday, 28 August 2025
News Title :
কালিগঞ্জ থানার ওসিকে বদলি নতুন ওসি মিজান অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হাজার হাজার যুবক : ঝুঁকছে ভয়ংকর অপরাধে বনবিভাগের সামনেই পাচার হচ্ছে সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ সাতক্ষীরায় চিংড়ীতে জেলী পুশ : ব্যবসায়ীকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা যুবদল নেতা শামীম হত্যার দায়স্বীকার করল স্ত্রী ও শ্যালক সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা অবজার্ভারে সংবাদ প্রকাশে কালিগঞ্জে অভিযানে ১৬ কেজি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ সাতক্ষীরায় মেরুদণ্ডের জটিল অপারেশন সম্পন্ন কালিগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতায় বিতর্ক, রচনা ও চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠিত যানজটের শহরে পরিণত সাতক্ষীরা শহর : নাকাল জনসাধারণ

স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে পি/টিয়ে বের করে দিলেন বিএনপি-যুবদল নেতারা

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে বের করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজসহ ১০–১২ জন লাঠিসোটা ও রড–হাতুড়ি নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা অফিসকক্ষে ঢুকে শিক্ষক শফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় এবং পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। শিক্ষককে উদ্ধার করেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ‌আমাকে জনসম্মুখে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। ইউনিয়ন পরিষদে আটকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। আবার স্কুলে গেলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল জানান, স্কুলে এসে দেখেন নেতারা তার অফিস কক্ষে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায় যুবদল নেতা শফিকুলকে লাথি দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেন। এরপর তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে খবর দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সবুজ ফোন রিসিভ করেননি। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু বলেন, ‌‌‌‘এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না,’ এবং ফোন কেটে দেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামিনুল হক জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, ‌‌‌‌‘যদি কোনো নেতাকর্মী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Satkhira observer

Popular Post

কালিগঞ্জ থানার ওসিকে বদলি নতুন ওসি মিজান

স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে পি/টিয়ে বের করে দিলেন বিএনপি-যুবদল নেতারা

Update Time : 06:52 pm, Sunday, 17 August 2025

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে বের করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু, ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজসহ ১০–১২ জন লাঠিসোটা ও রড–হাতুড়ি নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা অফিসকক্ষে ঢুকে শিক্ষক শফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় এবং পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। শিক্ষককে উদ্ধার করেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ‌আমাকে জনসম্মুখে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। ইউনিয়ন পরিষদে আটকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। আবার স্কুলে গেলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল জানান, স্কুলে এসে দেখেন নেতারা তার অফিস কক্ষে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায় যুবদল নেতা শফিকুলকে লাথি দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দেন। এরপর তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে খবর দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সবুজ ফোন রিসিভ করেননি। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টু বলেন, ‌‌‌‘এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না,’ এবং ফোন কেটে দেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামিনুল হক জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, ‌‌‌‌‘যদি কোনো নেতাকর্মী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’