বিষ্ণুপুর প্রতিনিধি:
কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে সকল শ্রেণী মানুষের প্রিয়মুখ জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। তার পিতা আকবার আলী সাবেক দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের। জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন কলেজে প্রথম সারিতে অর্জন করেছেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়কের পদ।
পরবর্তীতে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বেশষ কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা স্বেস্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছে। বর্তমানে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। ছাত্রজীবন শেষ করে পিতার মত বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে বঞ্জিত মানুষের পাশে থেকে সেবা করেছেন। তার সদাআলাপী,বিনয়ী ও মিষ্টভাষী ব্যবহারে মন কেড়েছে তরুণ থেকে বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষের।
তিনি ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সামান্য কিছু ভোটে পরাজিত হন। পরাজিত হয়েও থেমে থাকেনি অদম্য ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ় -মনোবল নিয়ে কাজ করে গেছেন ইউনিয়ন বাসীর জন্য। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রাথী হয়ে ব্যাপক ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেখ রিয়াজ উদ্দিনের নির্দেশে টাকার বিনিময়ে রাতারাতি সব ব্যালেটে সিল মারে দায়িত্ব থাকা কমিশন। সেইসময় একযোগে সাতক্ষীরা সহ বাংলাদেশে রাতেই ভোট গ্রহণ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করে শেখ রিয়াজ উদ্দিনের একদল সন্ত্রাশী বাহিনী। শেখ রিয়াজ উদ্দিনের রাজনৈতিক যাতাকলে মিথ্য মামলা হয়রানির শিকার হয়েও থেমে থাকেনি জাহাঙ্গীর আলম।
২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেই শেখ রিয়াজ উদ্দিনসহ তার সন্ত্রাশী বাহিনী জাহাঙ্গীর আলমের প্রচার- প্রচরণায় বাঁধা প্রদান করে। তার পক্ষে কেউ ভোট চাইলে শোডাউন দিলে মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে রিয়াজের সন্ত্রাশী বাহিনীরা। জাহাঙ্গীর আলমের আপন বড় ভাই আলমগীর হোসেনকে নির্বাচনে প্রচরণায় মেরে গুরুতর জখম করা হয়েছিল।
কিন্তু সেই রুদ্ধশ্বাস লড়াই আর শেখ রিয়াজের সন্ত্রাশী বাহিনীর দেশীয় অস্ত্রে জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। শেখ রিয়াজ উদ্দিনের নির্যাতনের শিকল ভেঙ্গে দলে দলে জাহাঙ্গীর আলম কে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে জনগণ।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জাহাঙ্গীর আলম সব সময় জনকল্যাণ মুখী কাজ করেছে। ইউনিয়নে কাউকে কোন হয়রানি হতে দেয়নি তার পরিষদ দ্বারা। সরকারি কাজ ও গরিবের জন্য বরাদ্দ সকল কিছু সঠিকভাবে বন্টন করেছে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। তার স্বীকৃতি সূরুপ নেতাজী সুভাসচন্দ্র, শেরেবাংলা ফজলুল হক, মাদার তেরেসা ও কাজী নজরুল ইসলাম গোল্ডেন এ্যাওর্য়াড পেয়েছেন।
৫ ই আগষ্ট শেখ হাসিনা পতনের পরে ইউনিয়ন ব্যাপী নিজের দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর পাহাড়া দিয়েছে রাত জেগে।
মাস খানেক তিনি রাতজেগে ঘুরে ঘুরে নিরাপত্তা দিয়েছেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে তেমন কোন সহিংসতা ঘটেতে দেয়নি। তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করেছে অক্ষরে অক্ষরে।
অল্প সময়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনকালে জাহাঙ্গীর আলম সকল শ্রেণীর মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু কিশোর, তরুণ, যুবক নয় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মনিকোঠায় এখন জাহাঙ্গীর আলম।