Dhaka , Thursday, 28 August 2025
News Title :
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হাজার হাজার যুবক : ঝুঁকছে ভয়ংকর অপরাধে বনবিভাগের সামনেই পাচার হচ্ছে সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ সাতক্ষীরায় চিংড়ীতে জেলী পুশ : ব্যবসায়ীকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা যুবদল নেতা শামীম হত্যার দায়স্বীকার করল স্ত্রী ও শ্যালক সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা অবজার্ভারে সংবাদ প্রকাশে কালিগঞ্জে অভিযানে ১৬ কেজি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ সাতক্ষীরায় মেরুদণ্ডের জটিল অপারেশন সম্পন্ন কালিগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতায় বিতর্ক, রচনা ও চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠিত যানজটের শহরে পরিণত সাতক্ষীরা শহর : নাকাল জনসাধারণ সুন্দরবনের চর দখল করে রির্সোট : গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

আব্দুর রহমান কলেজে ১৯ বছর জালিয়াতি করে ৩ শিক্ষকের বেতন উত্তোলন

সাতক্ষীরা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজে সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও বেতন ফেরত না দিয়ে এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন তারা।

সম্প্রতি ওই তিন শিক্ষকের এমপিও বাতিল ও অবৈধভাবে উত্তোলিত বেতনভাতা ফেরতের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কলেজের প্রভাষক মো. আমিনুর রহমান শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, পরিসংখ্যান এবং অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল এই ৩টি বিষয় কলেজে না থাকলেও সুরাইয়া সুলতানা (গার্হস্থ্য অর্থনীতি), হুমায়ুন কবির (পরিসংখ্যান) এবং শাহাজান কবির (অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল) ২০০৬ সালে এমপিওভুক্ত হন। পরে থেকে তারা কোনো পাঠদান না করেই বেতনভাতা নিচ্ছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ২ জুলাই অভিযুক্ত তিনজনকে উত্তোলিত সমুদয় অর্থ চালানের মাধ্যমে ফেরতের নির্দেশ দেয়। তবে টাকা ফেরত না দিয়ে সুরাইয়া সুলতানা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে এবং জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের সহায়তায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাংবাদিকরা কলেজে গেলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের কয়েকজন শিক্ষক–কর্মচারী জানান, উল্লিখিত বিষয়গুলো কলেজে নেই, তাই তিনজন শিক্ষক ১৯ বছর ধরে কোনো পাঠদান না করেই বেতনভাতা তুলছেন।

এ বিষয়ে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়াইব আহমাদ বলেন, কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছেন না, তাই সুরাইয়া সুলতানাকে বরখাস্ত করা যাচ্ছে না।

যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা বলেন, তার সনদ সঠিক। বেতনভাতা ফেরতের বিষয়টি এরইমধ্যে মীমাংসা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Satkhira observer

Popular Post

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হাজার হাজার যুবক : ঝুঁকছে ভয়ংকর অপরাধে

আব্দুর রহমান কলেজে ১৯ বছর জালিয়াতি করে ৩ শিক্ষকের বেতন উত্তোলন

Update Time : 05:37 am, Wednesday, 13 August 2025

সাতক্ষীরা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজে সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও বেতন ফেরত না দিয়ে এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন তারা।

সম্প্রতি ওই তিন শিক্ষকের এমপিও বাতিল ও অবৈধভাবে উত্তোলিত বেতনভাতা ফেরতের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কলেজের প্রভাষক মো. আমিনুর রহমান শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, পরিসংখ্যান এবং অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল এই ৩টি বিষয় কলেজে না থাকলেও সুরাইয়া সুলতানা (গার্হস্থ্য অর্থনীতি), হুমায়ুন কবির (পরিসংখ্যান) এবং শাহাজান কবির (অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল) ২০০৬ সালে এমপিওভুক্ত হন। পরে থেকে তারা কোনো পাঠদান না করেই বেতনভাতা নিচ্ছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ২ জুলাই অভিযুক্ত তিনজনকে উত্তোলিত সমুদয় অর্থ চালানের মাধ্যমে ফেরতের নির্দেশ দেয়। তবে টাকা ফেরত না দিয়ে সুরাইয়া সুলতানা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে এবং জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের সহায়তায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাংবাদিকরা কলেজে গেলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের কয়েকজন শিক্ষক–কর্মচারী জানান, উল্লিখিত বিষয়গুলো কলেজে নেই, তাই তিনজন শিক্ষক ১৯ বছর ধরে কোনো পাঠদান না করেই বেতনভাতা তুলছেন।

এ বিষয়ে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়াইব আহমাদ বলেন, কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছেন না, তাই সুরাইয়া সুলতানাকে বরখাস্ত করা যাচ্ছে না।

যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা বলেন, তার সনদ সঠিক। বেতনভাতা ফেরতের বিষয়টি এরইমধ্যে মীমাংসা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।